বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২১ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ শনিবার সকাল থেকেই বাংলাবাজার ঘাট হয়ে ঢাকাসহ কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের ভিড় শুরু হয়। তবে শুক্রবারের চেয়ে এ চাপ অনেকটাই কম ছিল। যাত্রী চাপ সামাল দিতে শিমুলিয়া থেকে আজও খালি ফেরি আনা হচ্ছে। যাত্রী চাপের সঙ্গে সঙ্গে ঘাটে ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপও বেড়েছে।
যাত্রীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে। তবে যাত্রীদের কেউ মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। দেখে মনে হচ্ছে মানুষের ভিড়ে করোনার ‘ঠাঁই’ নেই ফেরিতে। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রীরা দ্বিগুন-তিনগুন ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেল, থ্রী-হুইলার, ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে ঘাটে এসেছে। প্রচণ্ড গরম ও ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে গাদাগাদি করে পদ্মা পার হচ্ছে তারা।
বাংলাবাজার ঘাটে ফেরিতে নির্ধারিত ২৫ টাকাই আদায় করা হচ্ছে। ফেরিতে গাদাগাদি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে নজরদারি করতে দেখা গেছে। অপরদিকে, শিমুলিয়া থেকেও এখনো অনেক যাত্রী দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে যাচ্ছে। দূর পাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও এদিন খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল থেকে বেশ কয়েকটি বাস যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজার ঘাট থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। যাত্রীরা সেখান থেকে ভ্যান, ইজিবাইকে চড়ে ঘাটে আসেন। বাসসহ সকল যানবাহনে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করা হয় বলেও যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।
অ্যাম্বুলেন্সচালক আহমেদ শরীফ বলেন, রোগী নিয়ে বরগুনা থেকে ঢাকা যাবো। সকাল ১০টার সময় ঘাটে এসে এখন দুপুর ২টা বাজে এখনো ফেরিতে উঠতে পারিনি। যে ফেরি ঘাটে ভেড়ে তাতেই যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে আগেই উঠে পড়ছে। প্রশাসনের উচিত জরুরি গাড়ি উঠানোর ব্যবস্থা করা।
মংলা থেকে ঢাকাগামী মনির হোসেন বলেন, পথে পথে অনেক ভোগান্তি। শেষে ঘাটে এসে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসে আছি প্রায় দুই ঘণ্টা যাবত। ফেরিতে যাত্রীদের এত ভিড় দেখে ছোট বাচ্চা নিয়ে ওঠার সাহস পাচ্ছি না। কি যে করবো বুঝতে পারছি না।
শিবচর থানার ওসি মো. মিরাজ হোসেন বলেন, যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপার নিশ্চিত করতে ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত আইনশৃংখলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। ফেরিতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply